রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হ’ত্যা মা’মলার একমাত্র আ’সামি ফারদিন ইফতেখার দিহানের বাসার দারোয়ান দুলালকে আ’দালতে নিয়েছে পু’লিশ। সাক্ষী হিসেবে আজ মঙ্গলবার তাঁকে আ’দালতে নেওয়া হয়।
কলাবাগান থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ঠাকুর দাস আজ দুপুরে এনটিভি অনলাইনকে এ ত’থ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দুলালকে আ’দালতে নেওয়া হয়েছে সাক্ষী হিসেবে জবানব’ন্দি রেকর্ড করার জন্য।’
ঠাকুর দাস আরো বলেন, ‘দুলালকে গতকাল সোমবার পু’লিশ হেফাজতে নিয়ে প্রথমে জি’জ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি যতটুকু জানেন, আমরা ততটুকু জানার চেষ্টা করেছি। দুলাল এই মা’মলার আ’সামি নন। তাঁকে সকালে আ’দালতে নেওয়া হয়েছে। ম্যা’জিস্ট্রেটের কাছে লিখিত জবানব’ন্দি দেওয়ার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’
মা’মলার ত’দন্ত সংশ্লিষ্ট ঢাকা মহানগর পু’লিশের (ডিএমপি) নিউমার্কেট জোনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুলালের প্রাথমিক জি’জ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দুলাল আমাদের বলেছেন, দিহান ওই ছাত্রীকে বাসায় নিয়ে যান। দিহান নিয়ে যাচ্ছে বলে দারোয়ান তাকে কিছু বলেননি। এর এক ঘণ্টা পর দিহান ইন্টারকমে যোগাযোগ করে দারোয়ানকে উপরে উঠতে বলেন। উপরে উঠে দারোয়ান দেখেন, মে’য়েটিকে সোফায় শুইয়ে রাখা হয়েছে। ওই সময় সোফায় র’ক্ত লেগে ছিল।’
‘পরে তারা বাসা থেকে নিচে নামেন। হাসপাতালে নেওয়ার জন্য গাড়িতে তুলে দেন দুলাল। তারপর তিনি ওই বাসায় প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে ঘ’টনা বোঝার চেষ্টা করেন। এরপর তিনি বাসা থেকে পা’লিয়ে যান’, বলেন ওই কর্মকর্তা।
ঘ’টনার দিন গত বৃহস্পতিবার দুপুরে গু’রুতর আ’হত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন দিহান। পরে চিকিৎসক তাকে মৃ’ত ঘোষণা করেন। এরপর ওই দিন দিবাগত রাতে নি’হত ছাত্রীর বাবা কলাবাগান থানায় না’রী ও শি’শু নি’র্যাতন দ’মন আইনে মা’মলা করেন।
আ’সামি দিহানকে জি’জ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ঢাকা মহানগর পু’লিশ (ডিএমপি) জানিয়েছিলেন, ভু’ক্তভোগীর স’ঙ্গে আ’সামির প্রেমের সম্প’র্ক ছিল। আ’সামির মা বাসায় না থাকায় সুযোগ পেয়ে ভু’ক্তভোগীকে কলাবাগানের ওই ফাঁকা বাসায় ডেকে নেওয়া হয়। এরপর জো’র করে শা’রীরিক সম্প’র্ক স্থাপন করা হয়। পরে ওই শিক্ষার্থীর প্রচণ্ড র’ক্তক্ষরণ শুরু হয়।
শা’রীরিক অবস্থা খা’রাপ হলে ওই শিক্ষার্থী মাথা ঘুরে পড়ে যায়। এরপর তাকে চিকিৎসার জন্য আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃ’ত ঘোষণা করেন।
নি’হত ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সে এ বছর ‘ও’ লেভেল পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পরীক্ষার সাজেশন দেওয়ার কথা বলে ছাত্রীকে বাসায় ডেকে নেয় বন্ধুরা। তারপর ফোন করে ছাত্রীর মাকে জানানো হয়, সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেছে। এরপর ছাত্রীকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ছাত্রীর মা হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পান, মে’য়ের প্রচুর র’ক্তক্ষরণ হয়েছে। তাঁর ধারণা, মে’য়েকে ধর্ষণের পর হ’ত্যা করা হয়েছে।
এ ঘ’টনায় দা’য়ের হওয়া মা’মলার একমাত্র আ’সামি ফারদিন ইফতেখার ওরফে দিহান গত শুক্রবার ১৬৪ ধারায় স্বী’কারোক্তিমূ’লক জবানব’ন্দি দিয়েছেন। পরে তাঁকে কা’রাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আ’দালত। এ ছাড়া পু’লিশ জি’জ্ঞাসাবাদের জন্য দিহানের আরো তিন বন্ধুকে আ’টক করেছিল। কিন্তু ঘ’টনার স’ঙ্গে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় জি’জ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।