দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সালমা। ক্লো’জআপ ওয়ান প্রতিযো’গিতার দ্বিতীয় আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়ে আলোচনা’য় এসেছেন তিনি। লালন গীতি ও পল্লী গীতি করে শ্রোতাদের মনে জা’য়গা করে ‘নিয়েছেন সালমা। গান করার পাশাপাশি একাধিক সিনেমা’র গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন এ শিল্পী। বর্তমান ব্যস্ততা এবং বিভিন্ন বি’ষয়ে’ কথা বলেছেন সালমা।
পারিশ্র’মিক কমানোর কারণ? পারিশ্র’মিক কমানোর দুটি কারণ। প্রথমত, আমা’র আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল, বছরে তিন বা চারটি গান করব। এমন করে তিন থেকে চারশ গান আমি করে ফে’লেছি। কিন্তু আমা’র জনপ্রিয় গান হাতে গোনা কয়েকটি। বলতে পারেন গান বেশি গাওয়ার জন্য পারিশ্র’মিক ‘কমিয়েছি। ‘দ্বিতীয়ত, প্যান্ডা’মিক সিচুয়েশনে মিউজিক ইণ্ডাস্ট্রিতে বিরাট প্রেশার এসে নেমেছে।’ একটি গা’নের স’ঙ্গে কিন্তু অনেকে জ’ড়িত’। যে’হেতু আমি একজন শিল্পী, সবাই যেহেতু কঠিন একটা সময় পার করছি। তা’ই আমি ‘আমা’র পারিশ্র’মিক কমিয়ে দিয়েছি। যাতে আমাদের মিউজিক কোম্পানিগুলোর সুবিধা হয়। সীমিত বাজেটে যারা কাজ করছেন তাদের সুবিধার কথা চিন্তা করেই আমি বাজেট কমিয়েছি। এতে করে মনের দিক থেকে কিছুটা শান্তি পাচ্ছি। একটি গানের স’ঙ্গে অনেকেই জ’ড়িত থাকে। আশা করি সবাই সুফল পাবে।
সাফিয়া ফাউন্ডেশন নিয়ে বলুন- মানবতার কথা চিন্তা করে আম’রা এ ফাউন্ডেশনটি করেছি। সাফিয়া আমা’র মে’য়ের নাম। এটির দায়িত্বে আছেন আমা’র স্বা’মী সানাউল্লাহ নূর। উনি পেশায় একজন উকিল। আমি এটার চেয়ারম্যান। ভবি’ষ্যতে সারাদেশে আমাদের কার্যক্রম ছড়িয়ে দেওয়ার ই’চ্ছা রয়েছে। আম’রা অনেক স্বেচ্ছাসেবক নেব। পুরো বাংলাদেশেই কাজ করার ই’চ্ছা আমাদের। যতটুকু পারি তা দিয়েই মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। সাফিয়া ফাউন্ডেশন আমাদের স্বস্তির একটি জায়গা।
আপনি নাকি পার্ক বানাচ্ছেন?এটি নিয়ে একটু ভু’ল বোঝাবুঝি হয়েছে। অনেকে বলছে, আমি রিসোর্ট করছি। আসলে তা না, আমি পার্ক বানাচ্ছি। নাম দিয়েছি ‘ইউরোপিয়ান পার্ক’। ইউরোপ স্টাইলে পার্কটি করার চেষ্টা করছি। ছয়-সাত মাস আগে থেকে কাজ শুরু হয়েছে। ময়মনসিংগের হালুয়া ঘাটের ওইদিকে বিনোদনের কোনো জায়গা নেই। সে চিন্তা করেই আম’রা পার্কটি করেছি। রিসোর্ট করার পরিকল্পনা এখনও নেই। সেটি পরে হলেও হতে পারে।
মিউজিক ইণ্ডাস্ট্রি কি করো’নার ক্ষ’তি কাটিয়ে উঠতে স’ক্ষম?এটি অসম্ভব ব্যাপার। আম’রা কেউ কিন্তু জানতাম না এরকম একটা বাজে অবস্থায় পড়ব। শিল্পী, মিউজিয়ানদের অবস্থা অনেক খা’রাপ। এখন পর্যন্ত আম’রা কোনো সহায়তা পাইনি। আর পাওয়ার আশা করছি না। আমাদের শো নাই, প্রো’গ্রাম নাই। দেশে সবকিছু চলছে কিন্তু গানের সেক্টরটা অচল হয়ে পড়ে আছে। আমা’র মনে হয় এদিকে স’রকারের নজর দেওয়া উচিত।
নতুন খবর কী’ দিবেন?নতুন খবর হলো, আমি প্রতিনিয়ত গান করছি। দুটি-তিনটি করে গান করছি। অসংখ্য গান করছি। কারণ, অনেকগুলো গান করলে সেখান থেকে একশ গান জনপ্রিয় হবে। এটিই আমা’র জন্য অনেক।বর্তমান ব্যস্ততা সম্প্রতি সিলন মিউজিকের শুটিং করছি। লতা জির (লতা মঙ্গেশকর) একটি গান করেছি। পার্থ দা ছিলেন স’ঙ্গীতায়োজনে। তার আগে কাজলের স’ঙ্গীতায়োজনে তিনটি নতুন গান করেছি। এ গানগুলোতে নতুন অনেকে আমা’র স’ঙ্গে ভ’য়েস দিয়েছে। চেষ্টা করছি, যারা কাজ করতে চায় তাদের নিয়ে কিছু করতে।